
সংগঠনের ঘোষণা নিয়ে বিক্ষোভ
- আপলোড সময় : ২৭-০২-২০২৫ ০৫:০৫:৩৩ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৭-০২-২০২৫ ০৫:০৫:৩৩ অপরাহ্ন


ছাত্রদের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘোষণা ঘিরে বিক্ষোভ-হাতাহাতি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের উদ্যোগে গঠিত নতুন ছাত্র সংগঠনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘোষণা ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি স্লোগান ও হাতাহাতি হয়েছে
‘কমিটি কমিটি, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘প্রাইভেটের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ছাত্রদের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান নেওয়া একপক্ষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিফাত রশীদের পক্ষে স্লোগান দেয়, আর অন্যপক্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও উত্তরার কমিটি দেওয়ার দাবি জানায়। এর ফলে, কিছু সময়ের জন্য তাদের মধ্যে হাতাহাতিও ঘটে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, নতুন কমিটিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব না দিলে তারা তা মেনে নেবেন না। তাদের দাবি ছিল, জুলাই আন্দোলনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, সুতরাং নতুন সংগঠনের কমিটিতে তাদের বাদ দিয়ে কোনো ঘোষণা মেনে নেওয়া হবে না।
রিফাত রশিদকে নতুন সংগঠনের কমিটিতে না রাখার গুঞ্জনে একদল শিক্ষার্থী স্লোগান দেয়, রিফাত রশিদের ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই, আর বিপরীতে অন্যপক্ষ ‘আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘উত্তরায় বৈষম্য মানি না মানব না’ স্লোগান দেয়।
মঞ্জুরুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের উত্তরার পূর্ব ও পশ্চিমে কমিটি দেওয়া হয়নি, কিন্তু তারা এখন নতুন দল ঘোষণা করতে চাচ্ছেন, এটা আসলে বৈষম্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রিফাত রশিদের ভূমিকা সবাই জানে, তাকে বাদ দিয়ে যদি কোন কমিটি হয়, তা কখনো আমাদের ম্যান্ডেট হতে পারে না।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা চাই, নতুন ছাত্র সংগঠনে আমাদের বাদ রেখে কোনো কমিটি ঘোষণা না করা হোক। এ জন্যই আমরা এখানে বিক্ষোভ করছি।
সংগঠনের সংবাদ সম্মেলনের আয়োজকদের একজন বলেন, সংগঠনের আত্মপ্রকাশের জন্য সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, তবে একটু দেরি হতে পারে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের সমন্বয়ে নতুন ছাত্র সংগঠনের ঘোষণার আগেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়, যা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এই পরিস্থিতির কারণে, সংগঠনের নাম ও কমিটি ঘোষণা করতে দেরি হয়। শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিক কোনো কমিটি তারা মেনে নেবেন না, এই কমিটিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে, অন্যথায় তারা নতুন সংগঠনের এই কমিটি গ্রহণ করবেন না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে বেরিয়ে আসার পর, সাবেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার নতুন ছাত্র সংগঠনের ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তুতি নেন। তবে এই ঘোষণা দেওয়ার আগেই একদল শিক্ষার্থী ‘বৈষম্য’ হওয়ার অভিযোগে মিছিল শুরু করে, যার ফলে ঘটনা বিকেল ৪টার দিকে ঘটে।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিফাত রশিদ বলেছিলেন, যারা সংগঠনটির মধ্যে থেকে নতুন কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত হতে চান, তাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পদ ছাড়তে হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ